পদ্ম বীজের ১০টি উপকারিতা - পদ্ম ফুলের বীজের দাম
করমচার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতাপদ্ম বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। পদ্মবীজ যারা চাষ করতে চায়
ও পদ্ম বীজের উপকারিতার পাশাপাশি পদ্ম ফুলের বীজের দাম কত? এই বিষয় গুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা নেয়া জরুরী। আমরা অনেকেই পদ্মফুল অনেক বেশি পছন্দ
করে থাকি তাই পদ্মফুল লাগায়। কিন্তু এই পদ্মবীদের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কোন
ধারণা নেই।
তাই আমাদের প্রয়োজন পদ্ম ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। চলুন আর দেরি
না করে পদ্ম বীজের উপকারিতা সম্পর্কে ও পদ্ম ফুলের বীজের দাম সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
পদ্ম বীজের উপকারিতা
পদ্ম বীজ, যা "ফক্স নাট" বা "কমল বীজ" নামেও পরিচিত, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা
রয়েছে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা দেওয়া হলো-
- পদ্ম বীজে প্রোটিন, ফাইবার, এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং ফসফরাস থাকে। এটি শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
- পদ্ম বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- পদ্ম বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি রক্তের গ্লুকোজের স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- পদ্ম বীজে ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকে, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- এতে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
- পদ্ম বীজে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে।
- পদ্ম বীজে থিয়ামিন থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্রম উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- পদ্ম বীজে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকে, যা শরীরকে শক্তি যোগায় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
পদ্ম বীজ লাগানোর নিয়ম
পদ্ম বীজ থেকে পদ্ম গাছ চাষ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। নিচে
পদ্ম বীজ লাগানোর জন্য ধাপগুলো দেওয়া হলো-
১. বীজ সংগ্রহ
- পদ্ম বীজ কিনতে পারেন বা সম্পূর্ণ পরিণত পদ্ম ফল থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
- বীজের উপরিভাগ শক্ত খোসায় আবৃত থাকে, যা একটু ঘষে বা কাটার মাধ্যমে নরম করে দিতে হবে।
২. বীজ প্রস্তুতি
- বীজের খোসা একটু ঘষে বা কাটার পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- একটি গ্লাস বা বাটি ভর্তি কুসুম গরম পানিতে বীজ ভিজিয়ে রাখুন।
- প্রতিদিন পানি পরিবর্তন করুন। বীজ ফেটে অঙ্কুর বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, যা সাধারণত ৫-৭ দিনের মধ্যে ঘটে।
৩. মাটি ও পাত্র প্রস্তুতি
- পদ্ম গাছ পুকুর, জলাশয়, বা গভীর টব বা পাত্রে ভালোভাবে জন্মায়।
- পাত্রে পানি ধরে রাখার জন্য উপযুক্ত হবে এমন পাত্র নির্বাচন করুন।
- পাত্রের নিচে ৬-৮ ইঞ্চি মাটি বা কম্পোস্ট রাখুন এবং তার উপর বীজ রাখুন।
- এরপর ধীরে ধীরে পাত্রটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন।
৪. বীজ বপন
- অঙ্কুরিত বীজটি মাটিতে খুব সাবধানে রাখুন যাতে অঙ্কুরটি না ভেঙে যায়।
- বীজের অঙ্কুরিত অংশটি মাটির উপরে এবং মূল অংশটি মাটির নিচে রাখতে হবে।
- এরপর পাত্রটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। পানি যাতে সবসময় পরিষ্কার থাকে তা নিশ্চিত করুন।
৫. রক্ষণাবেক্ষণ
- পাত্রটি রোদযুক্ত জায়গায় রাখুন, কারণ পদ্ম গাছ পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন।
- পানি ঠিকমত পরিবর্তন করতে হবে যাতে জল সবসময় পরিষ্কার থাকে।
- গাছের বৃদ্ধি অনুযায়ী পানি এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে।
- প্রায় ২-৩ মাসের মধ্যে, গাছটি পূর্ণ বিকশিত হবে এবং ফুল ফোটানো শুরু করবে।
গাছের পাতায় বা পানিতে কোনো ক্ষতিকর পোকা বা ব্যাধি আছে কিনা তা নিয়মিত
পর্যবেক্ষণ করুন। প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে
পদ্ম গাছ সহজেই বাড়ানো যায় এবং এর মনোরম ফুল আপনার বাগানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত
করবে।
পদ্ম ফুলের বীজের দাম
পদ্ম ফুলের বীজের দাম সাধারণত বাজার, মান, এবং ক্রয়স্থানের উপর নির্ভর করে ভিন্ন
হতে পারে। অনলাইনে এবং স্থানীয় বাজারে পদ্ম ফুলের বীজের দাম সাধারণত ১০-২০টি
বীজের প্যাকেটের জন্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিরল বা বিশেষ
জাতের পদ্ম বীজের দাম আরও বেশি হতে পারে। নির্দিষ্ট দাম জানার জন্য আপনি অনলাইন
স্টোর বা স্থানীয় কৃষি বা বাগান সরঞ্জাম দোকানে খোঁজ নিতে পারেন।
পদ্ম বীজের অপকারিতা
পদ্ম বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা বা
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। নিচে পদ্ম বীজের কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা উল্লেখ
করা হলো-
- পদ্ম বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে পেটের গ্যাস, ফোলাভাব বা হজমের সমস্যা হতে পারে।
- কিছু মানুষের জন্য পদ্ম বীজ অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। যদি বীজ গ্রহণের পর ত্বকে চুলকানি, র্যাশ বা অন্য কোনো অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তা খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
- পদ্ম বীজে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যদিও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তবুও ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- পদ্ম বীজে ক্যালোরি রয়েছে, তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি ওজন বাড়াতে পারে, বিশেষত যদি খাদ্যতালিকায় অন্য উচ্চ-ক্যালোরি খাবার থাকে।
- যারা নিম্ন রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য পদ্ম বীজের অতিরিক্ত গ্রহণ রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিতে পারে। এই অবস্থায় এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই অপকারিতাগুলো সাধারণত অতিরিক্ত বা অনিয়মিত ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই
পদ্ম বীজ গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিমিতি এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলা
উচিত।
পদ্ম বীজে থাকা উপাদান
পদ্ম বীজে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে
জনপ্রিয় করেছে। পদ্ম বীজে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ পুনর্গঠনে
এবং মাংসপেশির বৃদ্ধি ও মেরামতে সাহায্য করে। এটি একটি ভালো কার্বোহাইড্রেটের
উৎস, যা শরীরকে শক্তি যোগায় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়ক। পদ্ম বীজে ফাইবার
থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।
ক্যালসিয়াম পদ্ম বীজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য
রক্ষা করে। ম্যাগনেশিয়াম হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য
করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফসফরাস দেহের কোষ এবং টিস্যুর বৃদ্ধিতে সহায়ক
এবং শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পটাসিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট
ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
পদ্ম বীজে লোহা থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক এবং অ্যানিমিয়া
প্রতিরোধে কার্যকর। জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোষের
মেরামত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পদ্ম বীজে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অন্যান্য
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে এবং
বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই উপাদানগুলো পদ্ম বীজকে একটি পুষ্টিকর এবং
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে গড়ে তুলেছে, যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক
স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক।
হজম বৃদ্ধিতে পদ্ম বীজ
পদ্ম বীজ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক। এর কিছু উপাদান হজম শক্তি বৃদ্ধিতে
ভূমিকা রাখে- পদ্ম বীজে উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে
উন্নত করে এবং খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে। ফাইবার হজম সিস্টেমে পরিপাক
ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পদ্ম বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান অন্ত্রের
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
ফাইবার অন্ত্রের প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাদ্য হিসেবে কাজ করে, যা হজম
সিস্টেমের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং পেটের সুস্থতা বজায় রাখে। নিয়মিত পদ্ম
বীজ খাওয়া পেটের গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি অন্ত্রের হজম
প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
টবে পদ্মফুল চাষ পদ্ধতি
টবে পদ্মফুল চাষ করা একটি সহজ এবং আকর্ষণীয় প্রক্রিয়া। সঠিক পদক্ষেপ অনুসরণ
করলে আপনি আপনার বাগানে সুন্দর পদ্মফুল উপভোগ করতে পারবেন। নিচে পদ্মফুল টবে চাষ
করার পদ্ধতি দেওয়া হলো-
১. টব নির্বাচন
- একটি গভীর এবং প্রশস্ত টব নির্বাচন করুন। পদ্মফুলের জন্য টবটির উচ্চতা অন্তত ৩০-৪০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৪৫-৬০ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত।
- টবটির তলা ভালোভাবে নিকাশের জন্য কিছু ছোট গর্ত থাকা উচিত।
২. মাটি প্রস্তুতি
- একটি ভারী মাটি ব্যবহার করুন যা জল ধরে রাখতে পারে। সাধারণভাবে, মাটির সাথে কিছু কাদামাটি বা কম্পোস্ট মিশিয়ে দিন।
- মাটির মধ্যে কিছু সিমেন্টের কাঁদা (ল্যাটেরাইট) বা খুঁড়ে নেওয়া মাটিও মিশাতে পারেন যাতে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ে।
৩. বীজ বা অঙ্কুর নির্বাচন
- পদ্মফুলের বীজ সংগ্রহ করুন বা নিকটবর্তী নার্সারি থেকে অঙ্কুরিত পদ্মবীজ কিনুন।
- যদি বীজ ব্যবহার করেন, তা ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে (যেমন গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা)।
৪. বীজ বপন
- টবটির তলায় কিছু পাথর বা কংক্রিটের টুকরা রেখে দিন যাতে অতিরিক্ত জল নিকাশ হতে পারে।
- মাটি ঢালার পর, পদ্মবীজ বা অঙ্কুরিত বীজ টবের মাটিতে রাখুন।
- যদি অঙ্কুরিত বীজ ব্যবহার করেন, তাহলে অঙ্কুরটি মাটির উপরে রাখুন এবং খুব সামান্য মাটির স্তর দিয়ে ঢেকে দিন।
৫. পানি যোগ করা
- টবটি পূর্ণমাত্রার জল দিয়ে পূর্ণ করুন। পানি প্রায় ১০-১৫ সেন্টিমিটার গভীর হওয়া উচিত যাতে পদ্মফুলের পাতা ও ফুল জলপৃষ্ঠে থাকতে পারে।
৬. স্থান নির্বাচন
- টবটি সূর্যালোকযুক্ত স্থানে রাখুন, কারণ পদ্মফুল পর্যাপ্ত রোদ প্রয়োজন। প্রতিদিন ৪-৬ ঘণ্টা রোদ পেলে এটি ভালোভাবে বৃদ্ধি পাবে।
৭. রক্ষণাবেক্ষণ
- নিয়মিত পানি পরিবর্তন করুন। জল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- প্রতি ২-৩ সপ্তাহে একটি জলজ সার যোগ করুন যাতে গাছের পুষ্টি বজায় থাকে।
- টবের আশপাশের পাতা এবং ফুলের মরা অংশগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৮. ফুল ফোটানো
- পদ্মফুল ফুল ফোটানোর জন্য সাধারণত ২-৩ মাস সময় লাগে। ফুল ফোটানোর পর, এটি আপনার টবের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।
পদ্মফুল চাষের এই সহজ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে আপনি টবে সুন্দর পদ্মফুল উপভোগ
করতে পারবেন।
পদ্ম গাছের চারা পরিচর্যা
পদ্ম গাছের চারা পরিচর্যা সঠিকভাবে করলে আপনি সুস্থ ও সুন্দর পদ্ম ফুলের গাছ পেতে
পারেন। এখানে পদ্ম গাছের চারা পরিচর্যার কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো-
১. স্থান নির্বাচন
- পদ্ম গাছকে পর্যাপ্ত রোদ প্রয়োজন। তাই চারা এমন স্থানে রাখুন যেখানে দৈনিক ৪-৬ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছায়।
২. মাটি ও পাত্র
- ভারী মাটি, যেমন কাদামাটি বা জল ধরে রাখতে সক্ষম মাটি ব্যবহার করুন। মাটির সাথে কিছু কম্পোস্ট বা পচা গোবর মিশিয়ে দিন।
- টব বা পাত্রটি গভীর এবং প্রশস্ত হওয়া উচিত। মাটির নীচে পর্যাপ্ত নিকাশ গর্ত থাকা উচিত যাতে অতিরিক্ত জল বের হয়ে যায়।
৩. পানি দেওয়া
- পদ্ম গাছের জন্য প্রায় ১০-১৫ সেন্টিমিটার গভীর জল প্রয়োজন। চারা পরিমাণমতো জল দিন এবং নিশ্চিত করুন যে জল পরিষ্কার থাকে।
- নিয়মিত পানি পরিবর্তন করুন যাতে জল ঘোলা না হয় এবং ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ এড়ানো যায়।
৪. সার প্রদান
- প্রতি ২-৩ সপ্তাহে একটি জলজ সার ব্যবহার করুন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সারের সঠিক পরিমাণ ব্যবহার করুন।
৫. পরিষ্কার রাখুন
- মরা পাতা ও ফুল: মরা পাতা এবং ফুলগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এটি গাছের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পদ্ম বীজের উপকারিতা - পদ্ম
ফুলের বীজের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাছাড়া পদ্মবীজের চাষ পদ্ধতি
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে
ভুলবেন না। এমন আরো আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url