লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায়

খালি পেটে বেল খাওয়ার ১১টি উপকারিতাআমাদের শারীরিক সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম ও অতি পরিচিতি রোগ হলো লো প্রেসার ও হাই প্রেসার। লো প্রেসার ও হাই প্রেসার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকের লো প্রেসারের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় জানতে চান। তাছাড়া গুগলের মাধ্যমে অনেকেই লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আমরা এই আর্টিকেলে লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায়
লো প্রেসারের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারেনা ফলে মানব দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই লো প্রেসার হলে ঘরোয়া উপায়ে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অতএব পাঠক বৃন্দ আর দেরি না করে চলুন লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে পাশাপাশি লো প্রেসার সংক্রান্ত আরো তথ্য জেনে নিই।

ভূমিকা

লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা অনেকের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। লো প্রেসার হলে শরীরে রক্ত প্রবাহ কমে যায়, ফলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং কখনও কখনও বেহুঁশ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা নিরাপদ ও কার্যকর। এগুলি সাধারণত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে করা হয়। 
এই ঘরোয়া উপায়গুলি সহজে বাড়িতে পাওয়া যায় এবং প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার করা যায়। আমরা আপনাকে রফিক সাহেব থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব অতএব এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে লোকেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো ভালো হবে জেনে নিন।

লো প্রেসার কি | লো প্রেসার বলতে কি বোঝায়

লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ বলতে বোঝায় এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। রক্তচাপ হলো সেই বল, যা দিয়ে রক্ত হৃদপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রবাহিত হয়।
রক্তচাপের মাপ
রক্তচাপ সাধারণত দুইটি সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়-
  • সিস্টোলিক প্রেশার (উচ্চ চাপ): যখন হৃদপিণ্ডে রক্ত পাম্প করে, তখন রক্তের চাপ সর্বোচ্চ থাকে। এই চাপকে সিস্টোলিক প্রেশার বলা হয়।
  • ডায়াস্টোলিক প্রেশার (নিম্ন চাপ): যখন হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে এবং শিথিল হয়, তখন রক্তের চাপ সর্বনিম্ন থাকে। এই চাপকে ডায়াস্টোলিক প্রেশার বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, 120/80 mmHg (মিলিমিটার পার মার্কারি) একটি স্বাভাবিক রক্তচাপের মাপ। এখানে 120 হল সিস্টোলিক প্রেশার এবং 80 হল ডায়াস্টোলিক প্রেশার।
লো প্রেসারের মাপ
লো প্রেসার বলতে সাধারণত বোঝায় যখন সিস্টোলিক প্রেশার 90 mmHg এর নিচে এবং/অথবা ডায়াস্টোলিক প্রেশার 60 mmHg এর নিচে চলে যায়। অর্থাৎ, 90/60 mmHg এর কম হলে সেটি লো প্রেসার হিসাবে বিবেচিত হয়।
লো প্রেসারের লক্ষণ
  • মাথা ঘোরা
  • দুর্বলতা
  • ক্লান্তি
  • বেহুঁশ হয়ে যাওয়া
  • বমি ভাব
  • ঝাপসা দেখা
  • দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
লো প্রেসারের প্রভাব
লো প্রেসার হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যা শরীরের কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে লো প্রেসার থাকলে তা হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি, এবং কখনও কখনও জীবনহানির কারণও হতে পারে। যদি কেউ নিয়মিত লো প্রেসারের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসক নির্দিষ্ট কারণগুলি চিহ্নিত করে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।

লো প্রেসার হওয়ার কারণ কি?

লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ সাধারণত তখন ঘটে যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌঁছায় না, ফলে সেসব অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। লো প্রেসার হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, এবং সেগুলি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো-
  • যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে, যা রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। ঘাম বেশি হলে, গরম আবহাওয়ায় কাজ করলে বা বেশি পরিশ্রম করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
  • ভিটামিন B12, ফলিক অ্যাসিড, এবং আয়রনের অভাব থাকলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।
  • থাইরয়েড হরমোনের অভাব, অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ডের সমস্যা বা ডায়াবেটিসে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
  • কিছু ঔষধ যেমন ব্লাড প্রেসার কমানোর ঔষধ, ডায়ুরেটিক্স, এনালজেসিক্স বা অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট গ্রহণের ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
  • হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক, বা হার্টের অন্যান্য সমস্যাগুলি রক্তচাপ কমাতে পারে, কারণ এই অবস্থায় হার্ট ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে পারে না।
  • দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, যা রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর রক্তচাপ কমে যায়, কারণ এ সময় শরীরে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায় এবং রক্তবাহিকা শিথিল হয়ে যায়।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাবের ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
  • যথাযথ পুষ্টি না পেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, যা রক্তচাপ কমানোর কারণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত বিশ্রামহীনতা বা রাত জাগা শরীরের উপর চাপ ফেলতে পারে, যা রক্তচাপ কমাতে পারে।
এই কারণগুলো ছাড়াও অন্যান্য ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থা বা রোগের কারণে লো প্রেসার হতে পারে। তাই যদি লো প্রেসারের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায়

লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হলে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন, যা স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিম্নলিখিত ১০টি ঘরোয়া উপায় আপনার লো প্রেসার থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা হতে পারে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. লবণযুক্ত পানি পান করুনঃ লবণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
২. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করুনঃ ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। যেমন চা বা কফি পান করতে পারেন, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
৩. ব্ল্যাক কফি পান করুনঃ সকালে এক কাপ ব্ল্যাক কফি রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
৪. বেশি পানি পান করুনঃ শরীরে পানির অভাব হলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
৫. তুলসির পাতা চিবিয়ে খেতে পারেনঃ তুলসির পাতা চিবিয়ে খাওয়া লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৬. লিকোরিস চা পান করুনঃ লিকোরিসের চা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
৭. রসুনের টুকরা খেতে পারেনঃ রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৮. আদা চা পান করুনঃ আদা চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৯. বালিশ উঁচু করে ঘুমানঃ ঘুমানোর সময় মাথা সামান্য উঁচু করে ঘুমানো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
১০. ভিটামিন বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাওয়াঃ যেমন ডিম, মাংস, শাক-সবজি এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এই ঘরোয়া উপায়গুলি লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা হতে পারে, তবে যদি লো প্রেসার দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রেসার কমে যাওয়ার লক্ষণ

প্রেসার কমে যাওয়া বা নিম্ন রক্তচাপের (লো ব্লাড প্রেশার) লক্ষণগুলি সাধারণত রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করে। নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলি নিম্নরূপ হতে পারে-
  • রক্তচাপ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে শরীরে দুর্বলতা বা অবসাদ অনুভূত হয়।
  • বিশেষ করে হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরার অনুভূতি হতে পারে। এটি দাঁড়ানোর সময় রক্তের সঞ্চালন কমে যাওয়ার ফলে হয়।
  • রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
  • রক্তচাপ কমে গেলে চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা দেখা যেতে পারে।
  • শরীরে রক্তচাপ কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়, কারণ এটি শরীরে রক্ত সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করে।
  • লো প্রেসারের কারণে অনেক সময় বমি বমি ভাব বা আসলেই বমি হতে পারে।
  • রক্তচাপ কমে গেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, ফলে ত্বক ঠাণ্ডা এবং স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়।
  • রক্তচাপ কমে গেলে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে, কারণ শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হতে পারে।
  • রক্তচাপ কমে গেলে মাথাব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে মাথায় অক্সিজেনের সরবরাহ কমে গেলে।
  • রক্তচাপ কমে গেলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে একাগ্রতা বা মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।
যদি এই লক্ষণগুলি বারবার দেখা যায়, তবে এটি গুরুতর হতে পারে এবং একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

প্রেসার লো হলে কি ঔষধ খেতে হবে

নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার চিকিৎসার জন্য সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় না, বিশেষ করে যদি এটি তীব্র না হয় এবং জীবনের জন্য তাত্ক্ষণিক কোনো ঝুঁকি না থাকে। তবে যদি নিম্ন রক্তচাপ গুরুতর হয় বা এতে অসুবিধা হয়, তাহলে ডাক্তার কয়েকটি নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা প্রক্রিয়া সুপারিশ করতে পারেন। এটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। নিম্ন রক্তচাপের চিকিৎসায় যে ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হতে পারে-
  • ফ্লুড্রোকর্টিসোন (Fludrocortisone): এই ওষুধটি শরীরে সোডিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
  • মিডোড্রিন (Midodrine): এটি রক্তনালির সংকোচন ঘটিয়ে রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক হয়। এটি সাধারণত অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম ডিসফাংশনজনিত কারণে রক্তচাপ কমে গেলে ব্যবহৃত হয়।
  • ড্রোজিপিরিডামোল (Droxidopa): এটি নিউরোজেনিক অরথোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যা দাঁড়ানোর সময় রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়ক।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটিতে লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় এর পাশাপাশি লো প্রেসার সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন তথ্য ভালো ভেবে জানতে পেরেছেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। 
তাছাড়া লো প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো আপনার জরুরি পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করতে পারবেন। আর্টিকেলটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এমন আরো আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url