ভিটামিন ই এর ০৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
অন্যান্য ভিটামিন গুলোর মতো ভিটামিন ‘ই’ মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন ‘ই’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘ই’ অনেক রকমের খাবারের মধ্যে উপস্থিত থাকে। ভিটামিন ই এর উপকারিতা ও অপকারিতা- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেলটিতে জানানো হবে।
আপনি যদি ভিটামিন ই খেতে চান, তাহলে নিশ্চয় এটাকে খাবারের মদ্ধ দিয়ে গ্রহন করতে পারেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ভিটামিন ই বেশি খেলে খুব ভয়ানক শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অতএব পাঠকবৃন্দ আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন ও ভিটামিন ই এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
ভিটামিন ই এর উৎস
প্রত্যেকটি মানুষ তার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য আমরা অনেক খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন ই পেতে পারি। খাবার এই ভিটামিন ই বিদ্যমান। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের মাধ্যমে পেতে পারেন যেমন চিনা বাদাম, উদ্ভিজ্জ তেল, গম, সোয়াবিন এবং সূর্যমুখী ইত্যাদিতে। তাছাড়া সবুজ শাকে সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে।
ভিটামিন ই এর উপকারিতা
ভিটামিন ই মানব দেহের কোষকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক হুমকি এবং ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন ই ক্যান্সার, হার্ট সম্পর্কিত এবং অন্যান্য ও প্রতিরোধে করে থাকে। আমাদের চোখের জন্য ভিটামিন ই খুবই দরকারি। ভিটামিনের ই এর সুবিধার কারণে আমরা ছত্রাক ও বিষাক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।
তাছাড়া প্রোস্টাগাল্যান্ডিন উপাদান কাজ করে।প্রোস্টাগাল্যান্ডিন নিয়ন্ত্রণ প্রজনন, পেশি সংকোচনের পাশাপাশি বেশি মেরামত কাজে সিস্টিক ফাইব্রোসি ও লিভারের পিতল এবং পাচক সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড, যা শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ‘ই’ খেলে অকালে চুল পাকার প্রবণতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনার বয়সের ছাপ দূর করতে চাইলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন এতে আপনার শরীর থেকে বয়সের ছাপ অনেকাংশে মুছে যাবে।
ভিটামিন ই এর উৎস - ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার - ভিটামিন ই যুক্ত খাবার
প্রতিদিন আমরা যে খাবার গুলো খায় সেই খাবার গুলোর মধ্যে এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো ভিটামিন ই এর উৎস। নিম্নে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো।
- ডিম
- চিনা বাদাম
- সূর্যমুখী তেল
- বাদামের তেল
- চিনে বাদাম
- সয়াবিন
- অ্যভোকাডো
- কাজুবাদাম
- মিষ্টি কুমড়ো
- কাঁচা জলপাই
- ডিমের কুসুম
ভিটামিন ই এর অভাবজনিত রোগ - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়
ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে। ভিটামিন ই এর অভাবে যে সকল রোগ শরীরে সৃষ্টি হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো। ভিটামিন ই এর অভাবে যে সকল রোগ হয় তা নিম্নের উল্লেখ করা হলো।
- পেশির দুর্বলতা।
- চুল পড়ে যাওয়া।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতায় প্রভাব।
- নড়াচড়া করা সমস্যা।
- চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হয়।
ভিটামিন ই এর অপকারিতা
যে ভিটামিনের ই এর পরিমাণ আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে অবদান রাখে, সেইসব ভিটামিন ই গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে আমাদের দেহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রয়োজনের থেকে বেশি খাওয়া হলে, এটি দেহের মধ্যে জমা হতে শুরু হয়। কেননা এটি চর্বিযুক্ত দ্রবণীয়। এটি আস্তে আস্তে দেহের একটি বৃহৎ স্তরের সংশ্লেষ পায় ও খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে ভিটামিন ই সাধারণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন ই থেকে উৎপন্ন অসুবিধা গুলো রক্ত জমাট ও ক্লান্তি গুলো দেখা দেয়।
তাছাড়া ভিটামিন ই এর অভাবে কারণে আপনি অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যেমন পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, রেটিনোপ্যাথি, কঙ্কাল মায়োপ্যাথি, ইমিউন প্রতিক্রিয়া ও নার্ভ ক্ষতির অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এগুলো ভিটামিন ই এর হবে দেখা দেয়। আপনি যখন ভিটামিন ই খাদ্য খেতে চান, সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন। তাহলে আপনি কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ উপরে ভিটামিন ই এর উপকারিতা ও অপকারিতা , ভিটামিন ই এর কাজ কি? ভিটামিন ই এর অভাবজনিত রোগ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটিতে উল্লেখিত বিষয় গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে ভিটামিন ই এর অভাবে চেয়ে সমস্যা গুলো হয় তা আর হবে না। এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রিয় পাঠকগণ এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url