বিটকয়েন কি ও কেন? বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী? ২০২৪

আইটেল ০৭টি বাটন মোবাইলের দাম বাংলাদেশ ২০২৪প্রিয় পাঠকগণ, সকলকেই আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমরা অনেকেই বিটকয়েন সম্পর্কে খুব কমই জানি এটা মূলত ভার্চুয়াল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিটকয়েন কি ও কেন? বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী? বিটকয়েন বর্তমান সময়ে তার সার্ভিস ও বিশ্বাস দিয়ে একটি ডিসেন্ট্রালােইজড আর্থিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করছে।
বিটকয়েন কি ও কেন বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী ২০২৪
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দুনিয়ায় নিজেই রাজা বাকি সব কয়েন গুলো হলো মন্ত্রী। আজকের আর্টিকেলটিতে বিটকয়েন্টি ও কেন বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করা হবে। অতএব প্রিয় পাঠকগণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বিটকয়েন এর আবিষ্কারক কে

বিটকয়েনের আবিষ্কার সম্পর্কে জানামতে ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে একটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন শুরু করে যা পিয়ার-টু-পিয়ার মুদ্রা বলে অভিহিত হয়। ১৮ আগস্ট ২০০৮ সালে বিটকয়েন ডোমেন্ট নাম নিবন্ধন করা হয়। সেই বছরে পরে ১৮ অক্টোবর, বিটকয়েন পিয়ার-টু-পিয়ার ইলেকট্রিক সিস্টেম শিরোনামে সাতোশি নাকামোটোর লিখা একটি পেপারে লিংকে পোস্ট করা হয়েছিল।
এই কাগজটির উপর বিশ্বাস করে ইলেকট্রনিক লেনদেনের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি হয়েছিল। সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েনের জেনেসিস ব্লক খননের মাধ্যমে বিটকয়েনের অস্তিত্ব আসে। এই পর্যন্ত বিটকয়েনের বা সাতোশি নাকামোতোর আসল পরিচয় উন্মোচন হয় নাই এখনো বিতর্কর বিষয় হয়ে রয়েছে।

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে

বর্তমান যুগে বিটকয়েনের ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনারা অনেকেই জানিনা যে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। বিটকয়েন হল একটি ইলেকট্রিক মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা বলে। বিটকয়েনের মুদ্রার কেনা বেচা বা আদান প্রদান সবকিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে বিটকয়েন কেনাবেচা করতে পারেন।

সাধারণ লোক বিটকয়েন তখন কিনে যখন বিটকয়েনের বাজার মার্কেট কমে যায়। কেননা কম খরচে অধিক বিটকয়েন ক্রয় করা সম্ভব হয়। আবার যখন মার্কেটে বিটকয়েনের চাহিদাটা অনেক বেড়ে যায় তখন বিটকয়েন বিক্রয় করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

বাংলাদেশি কিছু আকারে বিটকয়েনের কেনা বেচার কথা জানা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচা বা সংরক্ষণ করে রাখা বেআইনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনের ব্যাপারে সতর্কতা ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইসু করে না বিধায় আর্থিক এর বিপরীত আর্থিক দাবির কোন ধরনের স্বীকৃতি নেই।

এ সকল ধরনের লেনদেনের মাধ্যমগুলো আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে। ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। তাছাড়া অনলাইন ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকরা মানি লন্ডারিং ঝুঁকি থাকতে পারে। এইজন্য বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণে এ আইন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

বিটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা যা বিশ্ব ব্যাংক বা সরকারের নির্রিত মূল্য মুদ্রার সাথে কোন সম্পর্কিত নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল্য পরবর্তীশীল হতে পারে বিভিন্ন ফ্যাক্টর ওপর ভিত্তি করে। তাই একটি বিটকয়েনের মূল্যটি চালিত হতে পারে। এই মূল্যটি জানতে হলে আপনার নির্দিষ্ট সময়ের উপর সর্বশেষ মান চেক করা উচিত।
বিটকয়েন কি ও কেন বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী ২০২৪
আপনি অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল্য ট্রেকিং সাইড এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিটকয়েনের মূল্য দেখতে পারবেন। নিম্নে উদাহরণ স্বরূপে আজকের তারিখ অনুযায়ী মূল্য দেখানো হলো।

বিটকয়েন কি ও কেন?

অনলাইনে যেমন ডলার পাউন্ড ইউরোর পাশাপাশি বিটকয়েন দিয়েও কেনাকাটা করা যায়। তবে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, কিন্তু বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে একটি জনগোষ্ঠী কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভলপার নতুন করে ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে।

তবে এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিত লাভ করে। সাতোশি নাকামোতো উদ্বোধিত নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। এই বিটকয়েন লেনদেনের কোন ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই, ইলেকট্রনিক মাধ্যম অনলাইনে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি পিয়ার-টু -পিয়ার আদান প্রদান করা হয়। এই লেনদেনের নিরাপত্তা ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতিকে। বিটকয়েন জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হচ্ছে নিজের পরিচয় না প্রকাশ করে এতে লেনদেন করা যায়।

অন্যদিকে লেনদেনের খরচ টা খুব কম তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বিটকয়েনের বিনিয়োগ করলে কয়েক গুন লাভ হবে এমন কিছুটা ধারণা হয়তোবা মানুষের মধ্যে রয়েছে। এই বিটকয়েন এখনো কোনো দেশের মুদ্রা স্বীকৃতি না পেলেও এর জনপ্রিয়তা অনেক। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৭ সালে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের সেমিনারে বাংলাদেশের ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন বাংলাদেশকে কিভাবে দ্রুত ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করা যায় তা খতিয়ে দেখা।

বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কি?

আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে গেছি উপরের আর্টিকেলগুলোতে বিটকয়েনের উদ্ভাবিত ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখন মূলত বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ বলতে বর্তমানে এই বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা নামক অতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এই ইলেকট্রনিক লেনদেনের বা আদান প্রদানের মাধ্যমে কেনা বেচা করা আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে।

বিটকয়েনের পিয়ার-টু-পিয়ার আদান প্রদান ইলেকট্রনিক্স বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষেরা বিটকয়েন মুদ্রার কেনাবেচা করছেন। রহস্যময় যে কোডারদের উপর নির্ভর করে বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কিভাবে উদ্ভাদিত হবে। কেননা এই বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা দিনে দিনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রার অন্যতম মুহূর্ত।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ আমাদের এই আর্টিকেলটিতে ইলেকট্রনিক্স বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, আপনারা নিশ্চয় উপরে আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছুই জেনে গেছেন। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা যা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে আমাদের বাংলাদেশে, বাংলাদেশ ব্যাংক বেআইনি বলে উল্লেখ্য করেছে।

আশা করি প্রিয় পাঠকগণ আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোন বিষয়ে প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল করতে আমাদের পেজটি হল রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url