চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

ভাঁট গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, বসতবাড়ির আশেপাশে নিম গাছ থাকলে রোগ বলাই কম হয়। তাছাড়া চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার রয়েছে, নিম গাছের পাতার প্রবাহিত বায়ু ও অক্সিজেন মানব দেহের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম পাতার রস অত্যন্ত উপকারী।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার সম্পর্কে যাবতীয় উপকারিতা সমূহ বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। আপনি যদি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

নিয়মিত প্রতিদিন নিম পাতার রস খালি পেটে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েরছ নিম পাতায়।এই উপাদান গুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা শাস্ত্রে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে।
তাছাড়ানিম নিম পাতা রস মধু দিয়ে মিশিয়ে খাওয়া গেলে শরীর রক্তের চলাচলকে সঠিক রাখে। এবং নিমপাতা গ্যাস্টিকের ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা গুলি সমাধান করে থাকে।খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে জন্ডিস ও ডায়াবেটিস রোগ ভালো হয়।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

শরীর চর্মরোগ এক ধরনের মারাত্মক রোগ। এই রোগ সাধারণত বর্ষা ও শীতে দেখা যায়। বর্ষার আদ্রতার জন্য অতি তাড়াতাড়ি হতে পারে। এ ধরনের চর্মরোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে, নিম পাতার গুরুত্ব অনেক। কেননা নিম পাতা ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসা হয়ে থাকে। বর্ষায় চর্মরোগ থেকে এড়াতে চাইলে পরিষ্কার শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন, হাত-পা ভিজানো যাবে না।

কেননা বেশি পানির সংস্পর্শে চুলকানির সমস্যা বেড়ে যাবে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ঔষধি গুনাগুন, পাতা থেকে ফুল, বীজ, বাকল, কাঠ সবগুলো রয়েছে ঔষুধি গুনাগুন। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান গুলো ত্বকের রোগে ব্যবহৃত হয়। নিম পাতার বাকল ও পাতার সঙ্গে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের চুলকানি বা একজিমা আছে সেখানে ভালো করে লাগান।

কিছুক্ষণ স্বস্তি দিবে, এগুলোতে নিম ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। একজিমার সমস্যার জন্য ক্ষতস্থানে ১০-১৪ টি পাতা পেস্ট করে ক্ষতস্থানে ভালোভাবে লাগান। এতে একজিমার সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যাবে এবং অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

নিম পাতার বৈজ্ঞানিক নাম কি?

বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta Indica, margosa, Indian বা lilac Nimtree নামে পরিচিত। একটি ঔষধি গাছ যার পাতা বাকল রস থেকে অনেক চিকিৎসায় কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশ্বের সব জায়গাতেই প্রায় পাওয়া যাই নিম গাছ ।

নিম পাতার ব্যবহার

নিমপাতা চোখের রোগ, কৃমি, পেট খারাপ, হৃৎপিণ্ড, জ্বর. ডায়াবেটিস, মাড়ির, লিভারের সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয় নিমপাতা। নিম গাছের ছাল থেকে ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ, পেট এবং আলসার নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।পেটে কৃমি হলে নিমপাতা ব্যবহারের ফলে ভালো হয়ে যায়। নিম পাতার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

নিম গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করলে দাঁতের সুস্থতা বৃদ্ধি করে ও দাঁত মজবুত হয়। নিমপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার কাজ করে তাকে, রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তনালীকে প্রসারিত করে ।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা
নিমপাতার উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সমূহ আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান সেক্ষেত্রে গণিত তথ্যগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নীচে নিম পাতার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো-
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • ত্বকের সৌন্দর্য উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • দেহের দূষিত পদার্থ বের করে।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়।
  • নিম পাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী।
  • ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।
  • উকুন এবং খুশকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
  • কৃমিনাশক দূর করতে নিম পাতার উপকারিতা রয়েছে।
  • দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
  • কীটনাশক নাশ করতে নিম পাতার রয়েছে উপকারিতা।
  • এজমা প্রতিরোধ করে নিমপাতা।
নিম পাতার উপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনটা রয়েছে অপকারিতা দিকসমূহ। সেই উপকারিতা সমূহ বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।
  • নিম পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বা ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য নিম পাতা ক্ষতিকর হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
  • বিবাহিতদের নিম পাতা ব্যবহার না করাই ভালো, কেননা নিম পাতা খেলে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়।

লেখকের মন্তব্য

নিম পাতার ঔষধি গুনাগুনের কথা না বললেই হয় না। অতি প্রাচীন কাল থেকে নিম গাছের পাতা, ডাল, বাকলা সবকিছুই ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বাড়ায়। চর্মরোগ থেকে সুরক্ষা রাখে। ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আশা করি নিম পাতার উপকার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে কোন প্রকারের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ারও কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url